
ভক্তদের সাথে জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত ইফতারে তামিমের জন্য দোয়া চাইলেন বন্ধু সাকিব আল হাসান।তামিম ইকবাল যখন বুকে ব্যথা অনুভব করেন, তখন মাত্র দুই ঘণ্টার মধ্যেই এনজিওগ্রাম, রিং বসানো সব সম্পন্ন হয়ে যায়। দেশের অন্যতম মূল্যবান ক্রিকেটার হওয়ায় তার জীবন রক্ষায় কোনো বিলম্ব হয়নি। হাসপাতাল তাকে সেবা দিয়েছে, দয়া দেখায়নি।
আল্লাহর রহমতে তামিম ভাই বেঁচে গেছেন কিন্তু যারা তামিম নন? যারা কেবল সাধারণ নাগরিক? তাদের জন্য বুকের ব্যথা মানে ভর্তির ফরম, সিরিয়ালের অপেক্ষা, বিশ্লেষণের ফি, হাসপাতালের করিডোরে দীর্ঘ প্রতীক্ষা, আর কখনো কখনো একটি শোকবার্তা এখানে সেবা পাওয়ার জন্য আপনাকে ধনী হতে হবে, জনপ্রিয় হতে হবে, অথবা নিছক ভাগ্যবান।
একই রিং, একই ডাক্তার, একই অপারেশন তবু কারো জন্য খরচ পঁচিশ হাজার, আর কারো জন্য দুই লাখ! এটা কি সেবা? না, এটা স্টেন্ট নামের পরিকল্পিত ডাকাতি। যারা বলে বাংলাদেশে চিকিৎসা নেই, তারা ভুল বলেন চিকিৎসা আছে, কিন্তু সততা নেই। ডাক্তার আছে, কিন্তু দায়িত্ব নেই। হাসপাতাল আছে, কিন্তু মানবতা নেই।
এখানে ‘ওটি’ মানে শুধু ‘অপারেশন থিয়েটার’ নয়
এটা একেকটা ‘অফিস টেবিল’ যেখানে প্রতিটি রোগী কেবল একটি টাকার ইউনিট।
বুকের ব্যথা হয়তো একদিন সেরে যাবে, কিন্তু এই ব্যবস্থার ব্যথা কখন কমবে? একদিন এই সিস্টেমের বুকে রিং বসবে হৃদপিণ্ড থেকে প্রতারণার রক্ত বের করে ফেলা হবে। তখন চিকিৎসা আবার সেবা হবে, ব্যবসা নয়।
সবশেষে তামিম ভাইয়ের জন্য অনেক দোয়া রইল ।
আল্লাহতালা আপনার হায়াত আরও দীর্ঘ করুক।