
সদরপুর (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চরবিষ্ণুপুর ইউনিয়নের দুবাই প্রবাসী মো. কামরুল হাসান সেলিম নামের এক ব্যক্তির দুই কোটি টাকা মূল্যের জমিসহ বাংলো বাড়ি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জনৈক এম এম হোসাইনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বাড়ির মালিক সদরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী ও ভুক্তভোগীর অভিযোগে জানা গেছে, সদরপুরের চরবিষ্ণুপুর এলাকায় ৩৮ শতাংশ জমিসহ বাংলোবাড়ি ও স্থাপনা রয়েছে দুবাই প্রবাসী কামরুল হাসান সেলিমের। এ সম্পত্তিটি কামরুল হাসান সেলিম এওয়াজ বদল করেন জনৈক ব্যবসায়ী এম এম হোসাইনের সঙ্গে। এওয়াজ বদলের ধারাবাহিকতায় সেলিমকে ঢাকায় একটি ফ্ল্যাট দেবার কথা ছিল। এ নিয়ে গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর তিনশত টাকার একটি নন-জুডিশিয়ার স্ট্যাম্পে চুক্তি করা হয়। চুক্তির নিয়মানুযায়ী ৬ মাস অতিক্রম হলেও সেলিমকে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেননি এম এম হোসাইন।
এ নিয়ে তাদের মাঝে বিরোধ সৃষ্টি হয়। বারবার ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেবার কথা বলা হলেও টালবাহানা শুরু করেন এম এম হোসাইন। গত কয়েকদিন আগে বাড়ির মালিক সেলিম তার বাড়িতে প্রবেশ করতে গেলে বাঁধা প্রদান করেন এম এম হোসাইনের কেয়ারটেকার। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে সেলিমকে হুমকি প্রদান করা হয় এবং বাড়ির ত্রি-সীমানায় না আসতেও বলা হয়।
স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, বড় বাড়ি হিসাবে খ্যাত এ বাড়িটি দুবাই প্রবাসী কামরুল হাসান সেলিমের। আমরা জানতে পেরেছি, এওয়াজ বদলের বিনিময়ে বাড়িটি জনৈক এম এম হোসাইনের নামে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এম এম হোসাইন চুক্তি মোতাবেক ফ্ল্যাট লিখে দেননি। তারা জানান, সেলিমের বাড়িটি অবৈধভাবে দখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছে এম এম হোসাইন নামের ঐ ব্যক্তি।
বাড়ির মালিক কামরুল হাসান সেলিম অভিযোগ করে বলেন, এম এম হোসাইন তার সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। আমার জমিসহ বাড়ি ও স্থাপনা দখল করে আমাকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা চালাচ্ছে।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, আমি এখন আমার নিজ বাড়িতে যেতে পারছি না। কিছু সন্ত্রাসী লোক বাড়িটিতে অবস্থান করছে। যে কোন সময় তারা আমার ক্ষতি করতে পারে।
তিনি বলেন, এম এম হোসাইন ফরিদপুর-৪ আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন করবেন এমন ভাবনা থেকে এলাকায় একটি বাড়ি দরকার বিধায় আমার বাড়িটি তিনি এওয়াজ বদলের মাধ্যমে নেবার চুক্তি করলেও আমাকে ঢাকার ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেননি। তাছাড়া তার সাথে চুক্তির মেয়াদও শেষ হয়েছে।
বাড়ি দখলের অভিযোগ অস্বীকার করে এম এম হোসাইন বলেন, এওয়াজ বদলের বিনিময়ে আমি তার বাড়িটি নিয়েছি। সে আমার কাছে যে ফ্ল্যাট পাবে তা তাকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু হঠাৎ করে সে আমার বিরুদ্ধে কেন অপপ্রচার করছে বুঝতে পারছি না।
এ বিষয়ে সদরপুর থানার ওসি মো. নাজমুল হাসান বলেন, বাড়ি দখলের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে দুইপক্ষই বসে মিমাংসা করবেন বলে জানিয়েছেন।