
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন সড়কে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রকাশ্যে চলছে নিষিদ্ধ ট্রাক্টর, ট্রলি ও লরি। গাড়িগুলো ধারণক্ষমতার অধিক মাটি, বালু ও ইট বহন করে প্রতিনিয়ত। উপজেলার পৌরশহরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের রাস্তায় বেপরোয়া গতিতে চলাচলে এসব গাড়ির শব্দ দুষনে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। শহরে জানজটের পাশাপাশি খোলা গাড়ি থেকে সড়কে ইট ও মাটি পড়ে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সড়ক।
স্থানীয়রা জানান, জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার এলাকায় দ্রুত গতিতে চলছে ট্রলি, ট্রাক্টর, লরি গাড়ির। এছাড়াও গাড়িগুলো অধিকাংশ সময় বডির দ্বিগুণ উচ্চতায় ইট, বালু ও মাটি বহন করে। এসব গাড়ির বেপরোয়া গতির গতি এবং সড়কে মাটি পড়ে ঘটে দুর্ঘটনা। ঝরেছে অনেক তাজা প্রান। পাড়া মহল্লা থেকে শুরু করে শহরেও এ যানের প্রভাব রয়েছে। ট্রাক্টর, ট্রলি কৃষি কাজে ব্যবহৃত হওয়ার কথা থাকলেও বালু, পাথর, মাটি ও অন্যান্য মালামাল আনা নেওয়ার কাজে ব্যস্ত দেখা যায় এসব বাহনকে। জগন্নাথপুর উপজেলায় রয়েছে শতাধিক ট্রলি, ট্রাক্টর। বেপরোয়া গতিতে চলাচলে কেউবা সারা জীবনের মতো বরণ করছে পঙ্গুত্ব। নিষিদ্ধ এই ট্রাক্টরে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীন সড়কগুলো। এলাকাবাসীর অভিযোগ নিষিদ্ধ ট্রাক্টর বেপরোয়া গতিতে চলছে দিনরাত। অদক্ষ ও অপ্রাপ্ত চালকের কারনে বাড়ছে দুর্ঘটনা। বিগত বছর উপজেলার আলাগদি গ্রামে ট্রলি উল্টে ঘটনাস্থলে সুহেল নামের এক চালকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উপজেলার প্রধান সড়ক সুনামগঞ্জ- পাগলা- জগন্নাথপুর- আউশকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কসহ আবন্তরীণ সকল সড়কে ট্রলি, ট্রাক্টরসহ অবৈধ যানবাহনের দৌরাত্ব। এমনকি বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠানের যাতায়াত সড়কে বিকট শব্দের যানগুলি বেপরোয়া গতি নিয়ে চলাফেরা করছে।
রুজেল মিয়া বলেন, বিপদজনক এসব গাড়িতে বিভিন্ন মালামালের পাশাপশি মাটি পরিবহন করা হয়। পরিবহনকালে সেখান থেকে মাটি পড়ে রাস্তায়।এতে সামান্য বৃষ্টি হলে কাদায় সড়কগুলো পিচ্ছিল হয়ে ঝুঁকিপূর্ন হয়ে উঠে। যার ফলে ঘটে দুর্ঘটনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ট্রলি চালক জানান, আমরা গরীব মানুষ এই ট্রলি গাড়ি চালিয়ে সংসার চালাই। বেপরোয়া গতিতে আমরা গাড়ি চালাইনা। এটি বন্ধ করে দিলে আমরা বেকার হয়ে যাবো।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরকত উল্লাহ বলেন, অবৈধ যানের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত আছে। ইতিমধ্যে আমরা কয়েকজন চালককে জরিমানা করেছি। প্রয়োজনে আরো কটোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।